দুরতম দুরত্ব

 দুরতম দুরত্ব 

- তানবীর আহমেদ 



তুমি ঠিক ততোক্ষণই আমার পাশে হাঁটবে, যতক্ষণ আমি হাঁটতে পারবো।

তারপর, তোমার যাত্রাপথে সঙ্গির পালা বদলের মেলা বসবে।

বাঁকি থাকবে শুধু একখন্ড অতিবাহিত সময়, আর কিছু পদচিহ্ন।

হয়তো ব্যস্ততার ভীড়ে পেছন ফিরে তুমি নাও তাকাতে পারো।

যদি কখোনো মনের ভুলেও ফিরে তাকাও, দেখতে পাবে সেই পদচিহ্নের পাশে বসে আছি অথর্ব-অসার এক মাংসপিন্ডের শরীর নিয়ে।

জানি তখন এটা ভেবেই খুশি হবে যে আজ তুমি অনেকটা পথ এগিয়ে এসেছো, পেড়িয়ে এসেছো অনেকটা সময়।

আর আমার যাত্রা বিলম্বিত হবার দরুণ অনেকটাই পিছিয়ে পরেছি।

এতটাই পিছিয়ে পরেছি আলোর গতিতেও ছুটে গেলে তোমায় খুঁজে পাওয়া অসম্ভব। 

তাই ছুটলাম না তোমার পিছু, যত আবেগ অভিমান অনুভূতি সবকিছু ভুলে যাত্রা করলাম কৃষ্ণগহ্বর অভিমুখে। 

যেখানে পদচিহ্ন তো থাকবে কিন্তু অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে।

তাই কখনো আমায় খুঁজতে এসোনা,

আমার হারিয়ে যাওয়াতে তোমার শহরে নিঁখোজ বিজ্ঞপ্তির মেলা বসাবেনা।

বসবেনা কালো ব্যাচ পরা কোন শোকাতুর জনসভা। 

তাই বিদায় নিচ্ছি, হয়তো অন্যকোনো প্যারালাল ইউনিভার্সে অপেক্ষায় থাকবো, 

অপেক্ষায় থাকবো হাতে কৃষ্ণচূড়া ফুলের ডালি নিয়ে।

তার আগ পর্যন্ত নাহয় বিচ্ছেদের অনন্দটুকুই থাকুক।

Post a Comment

0 Comments