মহামায়া (২)
- কাকলি চক্রবর্তী
এক দূর্গা থেকে সৃষ্টি হয় দেবীর নয়টি রূপ।
নব দূর্গা।
দীর্ঘ যুদ্ধের পর অসুর বধ করে শান্তি ফিরিয়ে আনেন তিনি তিনটি লোকে।
এই গল্প হয়তো সবার জানা।
যে গল্প থাকে মনের গভীড়ে,
সেই গল্পটি হলো সেই ছেলেবেলার দুগ্গা পূজা।
চাইলেও ভুলতে পারা যায়না সেই সব স্মৃতি।
পথে পথে প্যান্ডেল বাঁধা শুরু হলেই,
মন চাইতোনা আর স্কুলের পথে যেতে।
স্কুলটাকে মনে হত একটি বদ্ধভূমি,
আর আমি বন্দিনী সেখানে।
মহালয়ার সেই বিশেষ দিনটি ছিল দারুন আনন্দের।
সেই সময় প্রতিটি ঘরে এক সাথে বেজে উঠতো আগমনী সুর।
প্রকৃতি তখনো অন্ধকারাচ্ছন্ন।
সেই অন্ধকার কে অগ্রাহ্য করে,
কচি কাচারা সব বেরিয়ে পরতাম বাইরে।
সেই সময় বাড়ির পিছনে ছিল একটি বিরাট বড়ো মাঠ।
সৰ বাচ্চারা সেই মাঠে একসাথে জমায়েত হয়ে
খেলতাম।
মহালয়া শেষ হতেই আবার যে যার ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে পরতাম।
ঠাম্মা দরজার মাথায় আঁকতেন চন্দন আর সিঁদুরের ফোঁটা।
মুখে যেন একটা কি যেন মন্ত্রও বলতেন।
অধীর আগ্রহে দিন গুনতাম মহা ষষ্ঠীর।
ক্রমশঃ

0 Comments