ঈশ্বরী (১)

- কাকলি চক্রবর্তী 



বোধন হলো এলেন মা দূর্গা।

শাঁখা, সিঁদুরে, রাঙা আলতায়, রাঙা চরণে,

ঈশ্বরী এসেছেন গজে।

সঙ্গে তার পরিবার, পরিজন।

আসেন নি স্বামী,

তাই নিয়ে বড়ো অভিমান মায়ের।

মাত্র কয়েকটা দিনতো,

চাইলে কি আসতে পারতেন না?

কীসের এতো অভিমান স্বামী ভোলানাথের?

না কি অহংকার?

নিজের মনেই প্রশ্ন করেন মা।

এসেছেন মর্তে সবাইকে দিতে আশীর্বাদ।

আলোয় আলোয় সেজেছে ধরাধাম।

উচ্চকণ্ঠের মন্ত্র পাঠ

হই -হট্টগোল, সাজ -সজ্জা,

প্রবল সমরোহ, সৰ নামি দামি মণ্ডপ,

কতই না উপাচার।

তবুও প্রবল আলোয় কেন এতো অন্ধকার?

সুন্দর সাজ -সজ্জায় সেজে ওঠা মায়ের মুখে

কিসের ছায়া গোপনে করেছে অধিকার?

মায়ের চোখের জল ঝাড়বাতির আলোয় কাঁপছে

যে অহরহ।

সে কি পরম প্রিয় স্বামীর বিহন ব্যথায়?

না কি আছে অন্য কোনো কারণ?

ঈশ্বরী হলেও তিনি যে এক নারী।

নারী হবার সকল শর্ত গুলি তার ক্ষেত্রেও

তো প্রযোজ্য,

অটল, অচল, একেবারে নিশ্চিৎ, দৃঢ়।

তাই ঈশ্বরী হলেও নারী হবার গন্ডি অতিক্রম করা

হয়ে ওঠেনি মায়ের।

নিয়ম নীতির শৃঙ্খলে বন্দিনী মা ঈশ্বরী।


ক্রমশঃ