পত্র
- তরুণ বড়ুয়া (প্রিয়)
প্রিয়তমা,
তুমি কি জানো মানুষ কেন একা থাকতে পারেনা অথবা কেন একসঙ্গে থাকে?
এর একটা দারুণ সরল সমীকরণ আছে।
একটা মানুষ অন্য মানুষটির সুগন্ধে বেঁচে থাকে। এটা হল পৃথিবীর আদি নিয়মের একটি।
একটি মানুষ অন্য মানুষ থেকে সেই সুগন্ধ অনুভব করে এবং তার স্পর্শে সে বেঁচে থাকে মূলত।
তাই একে অন্যতে অভ্যস্ত এবং ভীষণ আপন হয়ে যায়। একটা নিত্য অভ্যাসে পরিণত হয় আরেকটি মানুষ কে ভালোবেসে বেঁচে থাকা।
তাই পৃথিবীতে এত মায়ার সৃষ্টি হয়ত। এই মায়া না থাকলে আমরা একে অন্যতে এভাবে জুড়ে থাকতে পারতামনা।
এই ভালোবাসা আর বিচ্ছেদ সবেতেই মিশে আছে এই মায়া। সবকিছুতেই থেকে যায় মায়ার প্রভুত্ব। আর তাই একে অন্যকে ঘিরে এই বাঁচতে চাওয়া আমাদের।
প্রিয়া আবারও বলছি একটা জীবন চালাতে ও বয়ে নিয়ে যেতে চাই একটা গভীর ও নিখাদ ভালোবাসা। সেটার অভাবে জীবন হয়ে ওঠে বিষাদসিন্ধুর মতো।
তাই তোমার ভালোবাসা বারবার আমাকে বাঁচিয়ে তোলে আর অতলের গহীন খাঁদে পড়ে গেলেও সেখান থেকে তুলে এনে আমাকে শক্ত করে ভালোবাসায় বেঁধে রাখে।
তোমার এই শর্তহীন চাওয়া আর তীব্র যত্নমুখর ভালোবাসার স্রোতে আমি তাই ভেসে যাই অবিরত।
তোমার ভালোবাসা তাই আমার কাছে এক নেশার মতো ভীষণ আকাঙ্খিত এবং কাম্য।
ভালো থেকো সবসময় তোমার এই অসম্ভব ভালোবাসা দানের নিত্যবিও নিয়মকে আমার উপরে জারি রেখে..।
ইতি,
তোমার প্রিয়।
0 Comments