সম্পর্কের মানে

 সম্পর্কের মানে

- মমতা মম



সম্পর্ক মানেই বিশ্বাস, সম্মান, আত্মত্যাগ থাকতে হবে। এই তিনটার কোনো একটি বাদ দিয়ে কখনো ভালোবাসার সম্পর্ক হতে পারে না। অধিকাংশ সম্পর্ক বিষাক্ত হয় বিশ্বাস এবং সম্মান বোধের অভাবের কারণে। আবার সম্পর্কে অতিরিক্ত স্বার্থপরতা থাকলে সেই সম্পর্কও টিকে না। আমি অধিকাংশ মেয়েকেই দেখেছি নিজেদের আত্মসম্মান তারা তাদের প্রেমিকদের হাতে তুলে দেয়। সম্পর্কের আগে তার যা ভালো লাগা ছিলো সবই যেন বিসর্জন দেয় ঐ মানুষটার জন্য। যেমন মেয়েটির যদি সাজগোজ ভালো লাগতো সেটা বন্ধ হয়ে যাওয়া, তার যেখানে খোলা চুলে হাঁটতে ভালো লাগতো সেখানে প্রেমিকের জন্য হিজাবের ভেতর চলে আসা, নিজের মতো করে চলা থেকে বিরত থাকা ইত্যাদি। এইযে নিজের ভালো লাগা সম্পূর্ণ অন্যের জন্য বিসর্জন দিয়ে সম্পর্ক করা সেখানে নিজের কোনো অস্তিত্ব থাকে না। যেখানে নিজের কোনো অস্তিত্বই থাকে না সেখানে কোনো অনুভূতিও থাকে না। অনেক মেয়েই বলে এগুলো তার প্রেমিকের কেয়ারিং। আমি বলবো নিজের কেয়ারিং অন্যের হাতে এত তুলে দিয়েন না যেখানে নিজের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যায়। যেখানে স্বাধীনতা বলতে কিছুই থাকে না। সেই সম্পর্ক বেশিদিন বয়ে বেড়ানো যায় না। যে সম্পর্কে থেকে ভালোবাসার মানুষটি বাদে অন্য কোনো বন্ধু থাকতে পারে না সেই সম্পর্কের মতো টক্সিক আর কিছু হতে পারে না। যেসব ছেলে তার প্রেমিকাকে অন্য কোনো ছেলে বন্ধুর সাথে কথা বলতে দেয় না কিংবা যেসব মেয়েও তার প্রেমিককে অন্য কোনো মেয়ে বন্ধুর সাথে কথা বলতে দেয় না, বুঝতে হবে সেই সম্পর্কে কোনো স্বাধীনতা নেই। আর স্বাধীনতা নেই মানে বিশ্বাসও নেই। আপনার প্রতি বিশ্বাস নেই বলেই আপনার বিপরীত লিঙ্গের কোনো বন্ধু থাকতে দেয় না। সম্পর্কে এই বিশ্বাস খুব জরুরি। সাথে সম্মানও। একে অন্যকে সম্মান দিয়ে কথা না বল্লে সেই সম্পর্কে অল্পদিনেই তিক্ততা আসে। তিক্ততা নিয়ে সম্পর্ক হয় না।

তাই নিজের সম্মান কোথায় আছে সেটা নিজেকেই বুঝে নিতে হবে। বিশ্বাস, সম্মান, ত্যাগ স্বীকার নিজের মধ্যে না থাকলে, কথায় কথায় সন্দেহ প্রবণতা থাকলে নিজেকে অন্য কারো সাথে জড়িয়ে অন্যের জীবন বিষাক্ত করবেন না। একইভাবে বিপরীত দিকের মানুষটির মধ্যেও এই গুণগুলো না থাকলে তার সাথে জড়িয়ে থেকে নিজের জীবন বিষাক্ত করার কোনো মানে নেই। তার থেকে বরং একা থাকা অনেক ভালো।

Post a Comment

0 Comments