গ্রহণ (২)

সত্যি ঘটনা অবলম্বনেঃ

গ্রহণ (২)

- কাকলি চক্রবর্তী 



মা কী পাগল হয়ে গেলেন?

খুব ভয় পেলে আমি যেখানে আশ্রয় নিতাম,

ছুটলাম সেখানে।

বাবাকে জড়িয়ে ধরে বাবার বুকে

মাথা গুঁজে দিলাম।

ভাবলাম সব সমস্যার সমাধান হলো।

কটা দিন পরই আমার জন্মদিন।

পা রাখবো বছর ষোলোয়।

সে দিন সকাল থেকেই খুব ধূম ধাম।

কিছু আত্বিয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব, আর পাড়া পড়শী

এসেছিলেন।

সেদিও মা আমায় আশীর্বাদ করলেন না।

মাকে প্রণাম করতে গেলে,

মা প্রচন্ড আক্রোশে আমার হাতে কামড়

বসালেন।

রক্ত ঝরছিলো।

আমি কেঁদে উঠলাম,

"মা মা" বলে।

বাবা ছুটে এসে আমায় জড়িয়ে ধরলেন।

মা এক দলা থুথু ছুঁড়ে দিলেন

বাবার মুখে।

এ সব কী হচ্ছে আমি কিছুই বুঝে উঠতে

পারছিলাম না।

যাই হোক,

সেদিন আমি খুব সেজেছিলাম।

সারাদিন তুমুল হই হুল্লোড়।

রাতে সব অনুষ্টান শেষে,

সবাই যে যার বাড়ি চলেগেল।

খুব ক্লান্ত বোধ করছিলাম।

মা এখন একাই একটা ঘরে থাকতেন।

মায়ের আমার প্রতি ভয়ঙ্কর আচরণের জন্য

আমি ভয়ে আর মায়ের সাথে রাতে শুতাম না।

আমি থাকতাম বাবার সাথে।

খুব তাড়াতাড়ি ঘুমিয়েও পরলাম।

হয়তো মধ্যরাত,

প্রচন্ড যন্ত্রনা অনুভব করলাম শরীরে।

কে যেন ভয়ঙ্কর নখ, দাঁত দিয়ে ছিঁড়ে ফালা ফালা

করছে আমায়।

প্রথমে মনে হলো আমি স্বপ্ন দেখছি,

মনে পরলো বাবাকে।

বাবা কোথায়?

বাবা এখনি আমায় উদ্ধার করবে

রাক্ষসের হাত থেকে।

আমি চিৎকার করে ডেকে উঠি,

"বাবা, বাবা, বাবা,,,,,"

জানিনা শব্দ বেরোলো কী না,

কিন্তু যন্ত্রনা কমলো না।

ঠোঁট কেটে রক্ত গড়িয়ে ঢুকছে মুখে।

তার নোনতা স্বাদ টের পাচ্ছি।

আমার নারী অঙ্গ ক্ষত বিক্ষত হচ্ছে,

রক্তাক্ত হচ্ছে,

টের পেয়ে ও চোখ খুলতে পারছিনা ভয়ে।

সর্ব শক্তি একত্রিত করে চিৎকার করে

ডেকে উঠলাম,

"বাবা "।


ক্রমশঃ

Post a Comment

0 Comments