অসাম্যতা

- মমতা মম 



সাধারণত মুদি দোকান কিংবা মার্কেটে অন্যকিছু কেনার সময় মানুষ বড় দোকানগুলোতে বেশি ঢুকে। যেগুলোতে এমনিতেই বেচাকেনা হয় অনেক বেশি,সেখানে কাস্টমাররা পাশের দোকানে না যেয়ে তবু ভীড়ের মধ্যে ঐ দোকানেই দাড়িয়ে থাকে। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার যে মানুষ যে দোকানে সবকিছু পাবে সেখান থেকেই কিনবে বেশি। তবে অনেক মানুষ আছে যাদের পুঁজি কম,অল্প টাকাতে দোকান দেয়, তাই দোকানে মাল কম থাকে। ওসব দোকান চলেও কম। কিন্তু আমাদের উচিৎ যে দোকানে বেশি বেচাকেনা হয় সেখানে সবসময় না যেয়ে যে দোকানগুলো একদম কম চলে সেখান থেকেও দ্রব্য কেনা। আমি সবসময় চেষ্টা করি ঔষুধ কেনার সময় যে ফার্মেসি প্রায় খালি পড়ে থাকে সেখান থেকে ঔষুধ কিনতে,যে মুদি দোকান কম চলে সেখান থেকে কিছু কিনতে,অন্যসব কিছুতে তেমনই চেষ্টা করি। কারণ আমি মনে করি যাদের টাকা বেশি আছে তারা বড় দোকান দিচ্ছে আবার তাদের দোকান বেশি চলাতে তাদের এমনিতেই বেশি টাকা হচ্ছে। আবার সেখানেই সব কাস্টমরারা লাইন ধরে দাড়িয়ে থাকলে এটা মনে হয় যে যার যত বেশি আছে আমরা তাকে আরো তত বেশি দিচ্ছি। অন্যদিকে যাদের পুঁজি কম,যারা কম টাকা হলেও দোকান বা কিছু দিয়ে অন্তত কর্ম করে খাচ্ছে সেই মানুষগুলোর থেকে যদি আমরা কিছু না কিনি তাহলে তাদেরকে আমরা আরো অসহায়ের দিকে ঠেলে দিচ্ছি। যাদের টাকা নেই,একদম কম পুঁজি নিয়ে হলেও দোকান দেয় বা কিছু কর্ম করে খেতে চায়,তাদের কাছ থেকে মাঝে মাঝে দু চার টাকা বেশি দাম হলেও দ্রব্যাদি কেনা উচিৎ। তাতে ঐ মানুষগুলোর কিছু আয় উপার্জন হবে। 

তাই সবার কাছে অনুরোধ থাকবে, সবসময় বড় বড় দোকানে কিংবা বেশি ভীড়ের দোকানে না যেয়ে যেগুলো কম পুঁজির দোকান মনে হবে বা যে দোকানগুলো খুব কম চলে সেগুলো থেকে আপনারা কিছু কেনার চেষ্টা করবেন। যে দোকানে আপনি একসাথে পাঁচটা দ্রব্য কিনবেন সেখানে একেবারে পাঁচটা না কিনে চারটা কিনে,অন্য একটা দ্রব্য ছোট দোকান কিংবা কম কাস্টমার আসছে মনে হচ্ছে এমন দোকান দেখলে সেখান থেকে কেনার চেষ্টা করবেন। তাতে দু চার টাকা বেশি গেলেও মাঝে মাঝে এটা চেষ্টা করবেন। এতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বা ক্ষুদ্র মুদি দোকানীগুলোর উপার্জন হবে ও তাদের সংসার কিছুটা স্বচ্ছল হবে।