পুপুনের শৈশব(১)
- কাকলি চক্রবর্তী
পাড়া বলতে কয়েকটা মাত্র বাড়ি,
আর পাড়া জোড়া পুকুর।
আমাদের গল্পের নায়ক পুপুনের শৈশব
এই পুকুর কেন্দ্রিক।
খুব বড়ো না হলেও বেশ ছিল সেই পুকুর।
পুকুরের ধারে ধারে তাল, নারকেল, খেজুর, গাছের সার।
ঢলো ঢলো পরিষ্কার জলে মাছেদের চলা ফেরা পরিষ্কার দেখা যায়।
অবসর সময়ে পুপুন বসে থাকে
পুকুর পাড়ে।
ছোটো ছোটো মাছেরা একে বারে পাড়ের কাছে এসে
খেলা করে।
পুকুরের জল ঘেসে কচু বন,
সেই কচু বনে কত রকমের ফড়িং এর আনাগোনা।
প্রতিদিন বিভিন্ন রকমের ফড়িং দেখে সে,
দেখে প্রজাপতি আর মশার ঝাঁক।
আর সেই সব ফড়িং, প্রজাপতির বর্ণনা লিখে রাখে সে,
তাদের রং, প্রকৃতি সব।
আসে মাছরাঙা আর বক,
তবে একা একা।
বক সেই সকাল থেকে দাঁড়িয়ে থাকে এক পায়ে।
চোখ তার জলের দিকে নিবদ্ধ।
ওদের ধৈর্যের নেই খামতি।
ওদের ধৈর্য্য দেখে অবাক হয়ে যায় পুপুন।
মাছরাঙা ও জলের দিকে তাকিয়ে বসে থাকে।
সূর্যের আলো পরে তার দেহে,
অপূর্ব সুন্দর লাগে তাকে দেখতে।
কচু বনে কী সুন্দর ফুল হয়,
হলুল, হলুদের মাঝে মাঝে লাল ছিটে।
বেশ লম্বা লম্বা ফুল।
দেখতে খুব ভালো লাগলেও
পুপুন কখনো হাত দেয়না ফুলে।
ঠাম্মার বারণ আছে।
"একা পুকুরে নামবে না,
কচু বনের ধারে পাশে যাবে না।
ইত্যাদি ইত্যাদি,,,,,,"
পুপুন যে সব কথা শোনে এমন টা নয়,
তবে কিছু কথা শোনে।
সে যে অনেক সাপ দেখে রোজ।
এক একটা সাপ এক এক রকমের দেখতে।
খেলে বেড়াচ্ছে কচু বনে,
পকুরের জলে সাঁতরে বেড়াচ্ছে।
ওরা যখন জলের ওপর দিয়ে যায়,
পুপুনের খুব ভালো লাগে দেখতে।
কী সুন্দর ওদের চলন।
বেশ একটা ছন্দ আছে চলার মধ্যে।
সামান্য শব্দ হলেই,
সাপ আর মাছ লুকিয়ে পরে পুকুরের কচুরি পানা
আর কলমি দামের মধ্যে।
তখন তাদের আর কেউ দেখতে পায় না।l
ক্রমশঃ
0 Comments