মনুষ্যত্ব (৪)

 মনুষ্যত্ব (৪)

– কাকলি চক্রবর্তী 



সুতপা চাইলেও মেয়েকে বোঝাতে অক্ষম।

বাড়িতে যেন শোকের বাতাবরণ,

সব থাকতেও যেন কিছু ঠিক ঠাক নেই।

অনুভা ই একমাত্র দারুন শান্তিতে রয়েছেন।

এখন তার মনের ভার বোঝা অনেক টাই কম।

তার পূজা অর্চনার ও খামতি নেই।

ধীরে ধীরে সেই দিনটি এগিয়ে এলো।

দিনটা জবার শুভ বিবাহ।

সদ্য চোদ্দয় পা দেওয়া মেয়েটি

বাবা মায়ের ইচ্ছে অনুসারেই বলি দিচ্ছে

নিজেকে।

সকাল থেকেই অনুভার মন বেশ ফুর ফুরে।

বেশ হাসি খুশি দেকাচ্ছে তাকে।

মনে মনে গুন গুন করে রবীন্দ্র সঙ্গীতের সুর

ভাঁজছেন।

কখনো কখনো সেই সুর সব শব্দ কে ছাপিয়ে,

সকলের কানে ধরাও পরছে।

আর তাই শুনে গা জ্বলে যাচ্ছে রিভার। এতটা স্বার্থপর,

নির্দয় ও হতে পারে মানুষ?

ঠাম্মি যে তাকে এতটা ভালোবাসেন,

সব যেন আজ ভুল মিথ্যা বলে মনে হচ্ছে।

কী করে যে মানুষ এতটা নিরুতাপ হতে পারে

কে জানে।

মুখে কিছু না বললেও,

সুতপা ও শাশুড়ি মায়ের এ হেনো আচরণে অসন্তুষ্ট।

এক মহিলার হৃদয় এতটা কঠিন হয় কী ভাবে?

ছুটির দিন,তাই রিভার বাবা সৌগত ও বাড়িতে।

সেও মায়ের প্রতি রুষ্ট।

সেও রেগে বিরক্ত হয়ে রয়েছে মনে মনে।

কিন্তু মায়ের সামনে একেবারে ই চুপচাপ।

অনুভাকে দেখলেই সবাই সরে যাচ্ছে।

কেউ ঠিক ঠাক কথা বলছে না তার সাথে।

তবুও অনুভার কোনো বিকার নেই।

তিনি যেন দেখেও দেখছেন না,

বুঝেও বুঝছেন না।

বেশ রয়েছেন তার নিজের মত।

হটাৎ করেই দুপুর থেকে উধাও অনুভা।

সুতপা দুপুরের খাবারের জন্য শাশুড়ি মা কে

ডাকতে গিয়ে দেখে ঘর ফাঁকা।

সারা বাড়ির কোথাও সে নেই।


ক্রমশঃ

Post a Comment

0 Comments