চিন্তার সীমাবদ্ধতা

 চিন্তার সীমাবদ্ধতা 

- Bristy La wayfarer 



আচ্ছা মহাবিশ্ব, অসীম এসব সম্পর্কে জানতে আমরা এতো আগ্রহী কেনো?

কারণ আমরা জানিনা, আমাদের কাছে এখনো পর্যন্ত প্রায় সবটাই রহস্য মণ্ডিত। পুরো মহাবিশ্বের সিকি ভাগ ও আমাদের জানা নেই। এখনো পর্যন্ত সূর্য সম্পর্কেই সকল তথ্য আমরা জানিনা। জানলে হয়তো এই যে জানার আগ্রহ নিয়ে আমরা বেঁচে থাকি তা আর হয়ে উঠতো না। এই অজানাই আমাদের আগ্রহী করে তোলে আরো বেশি। আমরা আরো কাছে যেতে চাই জানতে। টাইম ট্রাভেল করে দূরত্বটুকুও কমিয়ে দিতে চাই। জানার আরো গভীরে যেতে চাই। 

আচ্ছা সব জেনে গেলে কি আমাদের আগ্রহ একই ভাবে থাকতো? না, বরং একঘেয়েমি লাগতো। আমরা জীবনের অর্থ হারিয়ে ফেলতাম। এই অজানা আমাদের বাঁচিয়ে রাখে, এই রহস্য আমাদের জাগ্রত করে প্রতিদিন। বেঁচে থাকার উদ্দীপনা জাগায়।

কিন্তু সেই মানুষগুলোই আমরা আবার ক্ষুদ্র চিন্তাও করে বসি। আমরা কোনো নির্দিষ্ট কাউকে ভালোবাসার দাবি করে তার সবটা একেবারেই জেনে নিতে চাই। এরপর ভালোবাসাটা ফিকে করে দেই। সেই অসীমের পথের যাত্রাটা আর হয়ে ওঠেনা। কারণ প্রকৃতি আমাদের সেভাবে তৈরি করেনি। আমাদের মস্তিষ্কে অজানার প্রতি ভালোবাসাকেই বেশি প্রাধান্য দেয় এটা আমরা ভুলে যাই। আমরা মহাবিশ্ব সম্পর্কে নতুন তথ্য জেনে যতটা খুশি হই, একজন কাছের মানুষ সম্পর্কে সত্য জানলে কেনো হতাশা বয়ে নিয়ে আসবে। কারণ ব্যাক্তি কেন্দ্রিক চিন্তায় আমরা এখনো সীমাবদ্ধ। সেখানে আমরা অসীমের ছোঁয়া পেতে অভ্যস্ত নই কিংবা ভয় পাই। নিজেরাই নিজেদের পথচলাকে কঠিন করে তুলি। প্রকৃতির বিরুদ্ধে চলে যাই। 

কিন্তু প্রকৃতি তো বোঝা রাখতে চায়না। উপড়ে ফেলে দেয়। তাই আমাদের সীমাবদ্ধ চিন্তার কারণে আমরাও তখন প্রকৃতির আক্রোশের মুখোমুখি হই।

তাই মহাবিশ্বকে ভালোবাসো কিংবা কোনো নির্দিষ্ট ব্যাক্তিকে, চিন্তা সীমাবদ্ধ থাকলে অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যাথা যন্ত্রণায় ভুগতে হবেই।

Post a Comment

0 Comments