সন্তান ও বাবা মা

 সন্তান ও বাবা মা

- লামিয়া ইসলাম 



আমাদের পরিবারে অনেক সময় বাবা-মার প্যারেন্টিং এ কিছু ভুল থাকে। তারা বাচ্চাদের কথাগুলো শুনতে চায়না।হয়তো বাচ্চাটা কিছু জানতে বা কোনো কনফিউশান দুর করতেই এসেছিল বা বন্ধু মনে করে শেয়ার করতে এসেছিল অথচ বাবা-মা ব্যস্ততায় হোক বা অবহেলায় তাদের ধমক দিয়ে দূরে সরিয়ে দেয়।এটা হয়তো আপনার কাছে তেমন বড়ো না কিন্তু একটা বাচ্চার কাছে অনেক কিছু। বাচ্চাটা বাবা-মা থেকে দূরে সরে যায়। আরেকটু বড়ো হলে বন্ধু-বান্ধবের পরামর্শেই যে কোনো কাজ করে আর ভুল করে।কারন, বন্ধুরা যে তার ক্ষতি চায় বিষয়টা তা নয় বরং তারা সবাই ত সমবয়সী, সমান ভাবেই কনফিউজড। তাদের জানার মাধ্যম গুলাও এক।তখন অনেক বাবা মাকে বলতে শুনি -কি ভেবে এটা করলি?আমাকে সব খুলে বল্লেও ত পারতি ব্লা ব্লা।অনেকে তখন হয়তো জানতেও চায়।কিন্তু ততদিনে বাবা মা সন্তানের কাছে তাদের নির্ভরতার জায়গা হারিয়ে ফেলে। সব বাবা মা ই সন্তানের ভালো চায়।

কিন্তু সন্তানকে যদি প্রাপ্য সম্মান না দেয়,আবার বলি সন্তানের প্রাপ্য সম্মান।পৃথিবীর সকল বয়সের মানুষের ই নিজের সম্মান থাকে।যা তাকে দিতে হয়,না হলে তার চোখেও আপনি শুধু উপদেশ বানী দেওয়া রেডিও বলেই বিবেচিত হবেন।তাই এই ভালো সুন্দর উপদেশ গুলো যাতে সন্তান নেয় তার জন্য তাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক,তাদের অবহেলা না করে গুরুত্ব দিয়ে কথা শোনা,সেই কথার সম্মান দিতে হবে।এবং ভয় না বরং ভালোবাসা ও কাউন্সিলিং দিয়েই তাদেরকে আটকাতে হবে। তাদের বিপদে আপদে থাকতে হবে।টিনেজে হওয়া বিভিন্ন কনফিউশান নিয়ে ট্যাবু না রেখে কথা বলতে হবে।কেউ যদি বুঝে তার সন্তান ডিপ্রেশনে আছে।সাইকোলজিস্টের কাছে নেওয়া,ঘুরতে যাওয়া, কথা বলতে হবে।তা না করে উল্টা তাদের উপর মানসিক টর্চার বাড়ানো বা একাই সামলে নিতে পারবে টাইপ ছেড়ে দিলে আপনার সাথে দুরত্ব বাড়বেই আর বড়ো কোনো এক্সিডেন্ট ও হতে পারে।সেই সাথে আপনার বুড়ো বয়সেও তার সেরম অবহেলা,বা খাওয়া পরা ও আত্নকেন্দ্রীক চিন্তাই থাকবে।

তাই ছোট থেকেই ছেলেমেয়ের কাছে ভয়ংকর বা দূরের কোনো উপদেশকারী না হয়ে বন্ধু হন।আর আমি যা করতে পারিনি তা আমার সন্তান করবে বলে চাপিয়ে না দিয়ে তার ইচ্ছেগুলোও শুনুন।মনে রাখুন প্রতিটি মানুষ আলাদা।স্বপ্ন বা সমস্যা ও আলাদা।বাবা মা দের উচিত সব ক্ষেত্রে ই তাদের পাশে থাকা।তবেই হতে পারে বাবা মা ও সন্তানের মধ্যে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম সম্পর্ক।

Post a Comment

0 Comments