একমাত্র সমাজতন্ত্রই পারে পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থা কে নির্মূল করতে
- অন্বেষা
আমরা বিপ্লবী । একদল শুধু কর্তৃত্ব করে যাবে , আর একদল খেটে যাবে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে- যতদিন দুনিয়ার বুকে এই ব্যবস্থা থাকবে ততদিন আমাদের এই ভূমিকা। আমাদের আপোষহীন লড়াই চলবে যতদিন না আমরা চূড়ান্ত জয়লাভ করি । মাঝামাঝি কোনো রফা সম্ভব নয়।এবং জেনে রাখুন -মেহনতী জনতারই জয় হবে।
শ্রমিকরা জানে আগামী দুনিয়ায় তাদের ভূমিকা কি। ওই জেনেই তো সারা দুনিয়ার শ্রমিক এক হয়ে হাত মেলাচ্ছে । কি বিরাট সে শক্তি । পৃথিবীর বুকে যৌবনকে ওরা ফিরিয়ে আনছে। কোনো শক্তি দিয়ে ঠেকানো যাবে না এই যৌবন জলতরঙ্গকে । শাসকের মধ্যে আছে শুধু নিচতা আর নিষ্ঠুরতা। কিন্তু সে আর কদিন ! নিচতা অতি সহজেই প্রকট হয়ে পড়ে, নিষ্ঠুরতাও মানুষকে শুধু উত্তেজিতই করে তোলে । শাসকের শক্তি তো শুধু যান্ত্রিক শক্তি -শুধু কাঁড়ি কাঁড়ি সোনার তাল জমাবার শক্তি । ফলে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে গিয়ে নিজেদের মধ্যে খেয়োখেয়ি করা শুরু করেন।
কিন্তু আমাদের তা নয়। আমরা জানি দুনিয়ার মজদুর এক । ওই সচেতনতাই আমাদের শক্তির প্রাণকেন্দ্র।শাসকেরা যা করেন , মানুষ কে শুধু দাসত্ব শৃঙ্খলে বাঁধবার জন্য - কাজেই তা ভুল।। শাসকের লোভ , মিথ্যা আর শঠতা দিয়ে এমন এক দানবের দুনিয়া তৈরি করা হয়েছে শুধু মানুষকে ভয় দেখাবার জন্য । ও থেকে মানুষকে মুক্ত করা আমাদের কর্তব্য। জীবনের মূল ছিন্ন করে দিয়ে মানুষকে হত্যা করাই শাসকের কাজ। শাসকের ধ্বংস করা পৃথিবীটাকে নিজের হাতে নিয়ে সমাজতন্ত্র আবার নতুন করে গড়ে তুলবে এক অখণ্ড রূপে । এ হবেই হবে।
ম্যাক্সিম গোর্কি 'র ”মা” উপন্যাস পড়ে আমার উপলব্ধি নিজের ভাষায় প্রকাশ করলাম।

0 Comments