আগন্তুকের প্রলাপ
অভি বণিক
এবং,আরো একটি ধর্ষণের প্রতিচ্ছবি যখন
ফুটে উঠলো দিনের আলোয়,
সকলেই হাহুতাশে ব্যস্ত হয়ে পরলো,
বিচার চাই,বিচার চাই,
আমরা সবাই অমুকের ভাই,
তমুক হত্যার বিচার চাই,
রাস্তা ফুলে ফেঁপে উঠলো,
রোদের তীব্র তাপও মিইয়ে গেলো,
আন্দোলনের দাবদাহে।
বিচার চললো,আইনী বিচার,
হাজার লাশের ভীরে শনাক্ত হলো একটি মাত্র শীর্ণকায় হাড়।
তারপর,কেটে গেলো হাজার বছর,
বছরের পর বছর,
ইস্যুর পরে ইস্যু,
কেঁদে কেঁদে শেষ হলো লক্ষ কোটি টিস্যু।
আমাদের অনুভূতি, দুম করে দাঁড়ায়,
কারণে,অকারণে দাঁড়ায়,
অন্যের হাসি দেখে দাঁড়ায়,
আবার,কান্নাতেও দাঁড়ায়,
প্রতিবাদেও দাঁড়ায়,
আবার,কুকুরের মিলন দেখেও দাঁড়ায়।
বড়-ই অদ্ভুৎ আমাদের অনুভূতি,তাই না?
কিন্তু,ব্যাপার গুলো,ঘটনা গুলো,
অনুভূতির তোপে পরা লাশগুলো,
যখন আমাদের নিজেদের ঘরেই আসে,
তখনই,হ্যাঁ, ঠিক তখনই আমাদের
টনকে ধিরিম ধারিম করে আঘাত পরে,
বজ্রাঘাতের থেকেও ভয়ঙ্কর আঘাত,
তখনই,হ্যাঁ,ঠিক তখনই আমরা বুঝি,
ভালোভাবেই তখন বুঝি,
খুবই ভালোভাবে তখন বুঝি,
অনুভূতির রোশানল,কতটা ভয়ঙ্কর।
অথচ,প্রতিবাদে নামতে গেলে,
অনুভূতির বিরুদ্ধে বলতে গেলে,
গলা ফাঁটিয়ে চিৎকার দিয়ে রাস্তা কাঁপাতে গেলে,
প্রথমেই বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়,
পরিবার,হ্যাঁ,পরিবার।
0 Comments