অন্যায়ের প্রতিবাদে অন্যায় সমর্থন যোগ্য নয়

 অন্যায়ের প্রতিবাদে অন্যায় সমর্থন যোগ্য নয়

সাহারা প্রমি



ভারতের একজন সুপরিচিত কমেডিয়ান মীর, তার প্রোগ্রামের একটি পর্বে ঋতুপর্ণ ঘোষ কে নিয়ে এসেছিলো। এবং কৌশলে অপমানজনক কথা বলেছিলো। জানিনা আপনারা সেই পর্ব টি দেখেছিলেন কিনা কিংবা দেখে থাকলেও মনে আছে কিনা।আমার মনে আছে।এতদিন পর কেন এই আলাপ দিচ্ছি?


ফেসবুকে দেখলাম স্মিথ নামক এক ব্যক্তি কমেডিয়ান ক্রিস রক কে চড় মেরেছেন। এবং, এটা নিয়ে প্রচুর মিমস ট্রল হচ্ছে। আবার অনেকেই চড় মারা কে জাস্টিফাই এবং সাপোর্ট করছে।কেউ কেউ ভীষণ মধুর প্রেমময় কথা দিয়েও জাস্টিফাই করছে যে স্মিথ তার স্ত্রীকে অপমান করায় ক্রিস রকের ওপর চড়াও হয়েছে। চড় মেরেছে।আসলে কি এটা ঠিক?


নাহ।শারীরিক প্রহার কে কখনওই সাপোর্ট করা যায় না যদি না সেটা আত্নরক্ষার প্রয়োজনে হয়। আর কাউকে অপমান করায় বিপরীতে থাকা মানুষকে প্রহার করা আত্নরক্ষার আওতায় পড়ে না।

স্মিথ শারীরিক প্রহার না করেও অপমানের জন্য প্রতিবাদ করতে পারতো।প্রতিবাদের শ্রেষ্ঠ এবং চূড়ান্ত অস্ত্র কি মারধোর?? কখনওই না।

সৃষ্টির আদিম কাল থেকেই পুরুষ নারীর প্রতি আধিপত্য বিস্তার করতে চেয়েছে এবং কাজে লাগিয়েছে পেশি শক্তিকে।নারীর মস্তিষ্কে এটা ঢুকিয়েছে পুরুষই নারীর রক্ষাকর্তা। সমাজও এটাই দিনের পর দিন লালন করে চলছে।


স্মিথ তার স্ত্রীকে অপমানজনক কথা বলায় রক কে শারীরিক প্রহার না করেও প্রতিবাদ করতে পারতো। এবং, স্মিথের স্ত্রী নিজেও নিজের অপমানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে পারতো।তাই স্মিথের রক'কে চড় মারা টা জাস্টিফাই করার কিছু নেই।স্মিথ যা করেছে তা মূলত আধিপত্যবাদী পুরুষতান্ত্রিক আচরণ। সহজ বাংলায় হ্যাডাম দেখানো। ব্যাডাগিরি করা।


যাইহোক, স্মিথ তার এমন আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়েছে। এবং, চাওয়াই উচিত।শুরুতেই বলেছি অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে আরেকটি অন্যায় কখনওই কাম্য নয়।

Post a Comment

0 Comments