অবলা বান্ধব পর্ব ৩
তানবীর আহমেদ
আইজ রাত দশটার দিকে হঠাৎ কইরাই কেশব বাবুর সহধর্মিনীর তল পেটে ব্যাথা শুরু হয়। চিন চিন কইরা সেই ব্যাথা বারতে বারতে অসহ্যকর হইয়া উঠে। কেশব বাবু আমারে ফোন দিয়া কইলো - কি মুসিবতের মইধ্যে পরলাম অবলা বান্ধব কও তো !! আমি তারে জিগাইলাম কি হইছে কেশব বাবু? কেশব বাবু ধীর্ঘশ্বাস ছাইরা কইলো তোমার বউদির প্রচন্ড পেট ব্যাথা করতাসে। কতকিছুইনা করলাম মরার পেট ব্যাথা কমার নামই নাই, সময়ের সাথে সাথে খালি বাড়তাছে। কেশব বাবুরে কইলাম জলদি কইরা আমাগর গেরামের ডাক্তার বাবুরে খবর দেন, যদি না পারেন আমি যাইয়া ডাক্তার বাবুরে লইয়া আসি। কেশব বাবু হুংকার ছাইড়া কইলো কিসব ধর্ম নাশের কথা কইতাছো অবলা বান্ধব? পুরুষ ডাক্তার মাইয়া লোকেরে দেখবো? গায়ে হাত দিবো এইডা তো ঘোড়তর পাপ, এইডা এতবড় পাপ যেই পাপ থেইক্কা মুক্তি পাওন যাইতনা। আমি কইলাম গেরামে তো এই একজন ছারা আর কোন ডাক্তার নাই। তাইলে আপাতত উনারেই ডাইকা লইলে হয়না? কেশব বাবু চড়া গলায় ধমকের সুরে আমারে কইলো তুমি চুপ থাকো অবলা বান্ধব। এই নিয়া তোমার আর চিন্তা না করলেও চলবো, এই কইয়া ফোনটা কাইটা দিলেন।
আমি কিছু মনে করিনাই তাতে। শুধু একটা কথাই ভাবতাছি যে কেশব বাবুর মত লোকেরা মাইয়াগরে লেখাপড়া করতে দিবনা কিন্তু নিজের ঘড়ের নারীগর লাইজ্ঞা মাইয়া ডাক্তার খুঁজবো।
এইডা কেমনে সম্ভব? মাইয়াগরে লেখাপড়া করতে না দিলে মাইয়া ডাক্তার পাইবো কেমনে?
0 Comments