আইএসবিএন কি ও কেন?
তামান্না তানহা দিনা
আইএসবিএন (ISBN) এর পূর্ণ রূপ হলো ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড বুক নাম্বার (International Standard Book Number) এর বাংলা অর্থ হলো আন্তর্জাতিক মান পুস্তক সংখ্যা। আইএসবিএন হলো বানিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য সমস্ত বইয়ের বারকোড চিহ্নিত করার একটি অনন্য পদ্ধতি। ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে যুক্তরাজ্যের বই ও স্টেশনারি সামগ্রী বিক্রেতা ডব্লিউএইচ স্মিথ (Wh Smith) এই পদ্ধতি প্রবর্তন করেন। শুরু থেকে ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এর প্রাথমিক নাম ছিলো স্ট্যান্ডার্ড বুক নাম্বারিং বা এসবিএন (SBN) এবং এটি "নয়" ডিজিটের সংখ্যা ছিলো।
১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে "আন্তর্জাতিক মান সংস্থা" এটিকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দেয় এবং আইএসও-২১০৮ এর মাধ্যমে এর প্রমিত রূপ নির্ধারিত হয়। ২০০৭ খ্রিষ্টাব্দের ১লা জানুয়ারি থেকে আইএসবিএন-কে ১৩ ডিজিটের সংখ্যায় উন্নীত করা হয়। টিসি ৪৬/এসসি ৯- এই সংস্থাটি এই সংখ্যায়নের সমস্ত দায়ভার বহন করে। ১৯৯০ দশকের শেষের দিকে বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্পে আইএসবিএন এর ব্যবহার শুরু হয়। বাংলাদেশের জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্র প্রতিটি প্রকাশনা সংস্থার জন্য একটি সংখ্যাক্রম বরাদ্দ করে। এরই ভিত্তিতে প্রকাশনা সংস্থাগুলো তাদের প্রকাশিত সমস্ত বইয়ের একটি আন্তর্জাতিক সংখ্যায়ন করে থাকে। এই সংখ্যাটি গ্রন্থের ক্রেডিট পাতায় ছাপানো হয়। আইএসবিএন এর মতোই আরেকটি সংখ্যায়ন পদ্ধতি হচ্ছে আইএসএসএন বা আন্তর্জাতিক মান ক্রমিক সংখ্যা। এটি মূলতঃ পত্র-পত্রিকা ও এবং ম্যাগাজিন বা সাময়িকীর জন্য ব্যবহৃত হয়।
0 Comments